আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে বললেন তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে, কারণ বিএনপি দেশটাকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতার পাহারাদার জনগণ; কিন্তু রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে।
আজকে দেশকে নিয়ে একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আর তারা যে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে সেখানে তারা নয়, মাছ শিকার করবে অন্যরা, সেটিও তারা জানে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা আর বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশ ও দেশের সম্পদ তুলে দেয়া। আর বিশ্ব বেনিয়ারা শকুনের মতো তাকিয়ে আছে; সুতরাং সেই সুযোগ দেয়া যাবে না।
ফিলিস্তিনের কথা উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম যে, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন এলেই ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে, জামায়াত তো করেই, অথচ আজকে ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, সেনিয়ে তাদের মুখে একটি কথা নেই। আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, তারেক জিয়া নির্দেশ দেয় যে এটি নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই, বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে। বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে সে জন্য যারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না। তারা যদি সুযোগ পায় নিজেদের স্বার্থে দেশটাকেই বিক্রি করে দেবে। সুতরাং এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন,
ফখরুল সাহেবদের অনুরোধ জানাব, আপনারা বেগম জিয়া, তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার হিসেবে কাজ করবেন না, রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করুন, দেশের স্বার্থে কাজ করুন, তাহলে দেশ উপকৃত হবে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো, অত উঁচু গলায় কথা বলবেন না। আপনি এমপি হওয়ার পরও আপনার দল আপনাকে শপথ নিতে দেয় নাই। আপনার দল এমপিদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের পদত্যাগ করিয়েছে, কোনো লাভ হয় নাই। সুতরাং আপনার দলের মূল নেতারা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া চায় না আপনারা নির্বাচনে এসে ভালো ফল করুন কিম্বা এমপি হোন।
‘শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন আজকে জাতীয় জীবনে অনেক কিছু দিতে পারতেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যার সহযাত্রী হতে পারতেন, কিন্তু খুনিরা তাকেও রেহাই দেয়নি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরে যখন ইমাম হোসেনকে জবাই করে হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের রেহাই দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী ও শিশু নির্বিচারে এমনকি অন্তঃসত্ত্বাকেও হত্যা করা হয়েছিল। এটি মানব ইতিহাসে একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। শুধু হত্যাকারীদের বিচার যথেষ্ট নয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমানসহ কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হয়নি। সেই মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ড. অরূপ রতন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতা কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, সাংবাদিক রেদোয়ান খন্দকার, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
0 মন্তব্যসমূহ