বাংলাদেশের শত্রু শেখ হাসিনাকে রাজারহালে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে দিল্লি: ফখরুল

বাংলাদেশের শত্রু শেখ হাসিনাকে রাজারহালে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে দিল্লি: ফখরুল

ভারত ন্যায্য পানি আটকে বাংলাদেশের শত্রু শেখ হাসিনাকে রাজারহালে দিল্লিতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। তাদের দাদাগিরি বন্ধ না হলে এ দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে শুরু হওয়া লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

লালমনিরহাটে তিস্তার পাড়ে দুদিনব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সময় সংবাদ



সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাটে তিস্তার পাড়ে দুদিনব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় নির্বাচন দাবি করেন তিনি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই, স্লোগানে স্লোগানে নদীর পাড়ে জমায়েত উত্তরের জনপদে। হেঁটে, নদী পথে ছুটে আসা মিছিলে প্রিয় নদী বাঁচাতে আকুতি তিস্তা পাড়ের মানুষের। শুকিয়ে যাওয়া প্রবাহে জেগে উঠা চরে জড়ো হয়েছেন উত্তরবঙ্গের হাজার হাজার বাসিন্দা। ন্যায্য হিস্যার দাবিতে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্রিজের নিচে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এই জনতার সমাবেশ। উজান থেকে নেমে আসা পানি শাসন করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত বাঁধ নির্মাণ করায় ও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি।


লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও  নীলফামারিসহ উত্তরের ১১টি স্থানে একযোগে দুদিনব্যাপী চলবে ভিন্নধর্মী এ প্রতিবাদ। তিস্তা পাড়ের ২৪২ কিলোমিটার অববাহিকায় অনুষ্ঠিত হবে পদযাত্রা। থাকছে লোকজ গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলাসহ নানা আয়োজন। ব্যানার প্ল্যাকার্ডে তিস্তা বাঁচানোর দাবি। নদীর মাঝখানে বসানো হয়েছে রং-বেরংয়ের তাঁবু। প্রতিবাদে এ এক ভিন্নতা।


উত্তরের মানুষের অভিযোগ, ভারত তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে হুমকির মুখে ফেলেছে লাখ লাখ বাসিন্দাকে। প্রতিবাদ যখন ভারতের আগ্রাসনের বিপক্ষে, তাই নদীর মাঝখানে এ আয়োজন বলছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ