যে কৌশলের কারণে হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হলো আয়রন ডোম
ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্প পাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মিসাইল বা রকেট প্রতিরোধক এই আয়রন ডোম মূলত তিনটি কাজ করে। রাডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে রুখে দেওয়া।
ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্যতম এটি। হিব্রু ভাষায় এর নাম কিপাট বারলজেল। কার্যকারিতার কারণেই ইসরায়েলের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি।
২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষায় এটি ইসরায়েলের অন্যতম ভরসা। এটি অনেকবার নতুন করে আপডেট করা হয়েছে। ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার মিসাইল ও রকেটকে মাঝপথে নাস্তানাবুদ করে ইসরায়েলি নাগরিকদের বাঁচাতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ইসরায়েলেই রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের আওতায় তৈরি করা হয়েছে আয়রন ডোম। এতে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন। এখনো মার্কিনিরা এ আয়রন ডোম চালানোর খরচ বহনে সহায়তা করে চলেছে।
এনডিটিভি জানায়, আয়রন ডোমের একেকটি ইন্টারসেপ্টরের মূল্য এক লাখ ডলার। এদিকে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের মূল্য ৫০ হাজার ডলার। এই অনুযায়ী যদি ইসরায়েল হামাসের ছোড়া মিসাইলগুলোর প্রত্যেকটি আটকাত তাহলে খরচ দাঁড়াত প্রায় দুই হাজার ৭৯ হাজার কোটি ডলার।
0 মন্তব্যসমূহ